Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

জৈব ও অজৈব পলিমারের মধ্যে পার্থক্য

জৈব ও অজৈব পলিমারের

জৈব পলিমার:

যে পলিমারের প্রধান শিকল কার্বন পরমাণু দ্বারা গঠিত তাকে জৈব পলিমার বলে। জৈব পলিমারগুলি পলিমার উপাদান যা মূলত ব্যাকবোনটিতে কার্বন পরমাণু ধারণ করে। সুতরাং, এগুলিতে কেবল কার্বন-কার্বন কোভ্যালেন্ট বন্ধন রয়েছে। এই পলিমারগুলি কেবল জৈব মনোমের অণু থেকে তৈরি হয়। বেশিরভাগ সময়, এই পলিমারগুলি পরিবেশ বান্ধব, কারণ এগুলি বায়োডেজেডযোগ্য।

অজৈব পলিমা:

যে পলিমারের প্রধান শিকল কার্বন ছাড়া অন্য কোনো পরমাণু (ফসফরাস, সিলিকন, সালফার) দ্বারা গঠিত হয় তবে এ পলিমারকে অজৈব পলিমার বলে। অজৈব পলিমার হ’ল পলিমার উপাদান যা ব্যাকবোনটিতে কার্বন পরমাণু নেই। তবে এই পলিমারের বেশিরভাগই হাইব্রিড পলিমার কারণ কিছু জৈব অঞ্চলও রয়েছে regions এই পদার্থগুলি উচ্চ শাখা কাঠামো এবং কার্বন ব্যতীত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে; যেমন: সালফার, নাইট্রোজেন।

জৈব ও অজৈব পলিমারের মধ্যে পার্থক্য:

যে পলিমারের প্রধান শিকল কার্বন পরমাণু দ্বারা গঠিত তাকে জৈব পলিমার বলে। জৈব ও অজৈব পলিমারের মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হয়েছে-

১। জৈব পলিমারসমূহসাধারণত C-C বন্ধনীর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া C-O–C-N- বন্ধনীর মাধ্যমে ও মূল শিকল তৈরি হয়। অন্যদিকে অজৈব পলিমারসমূহের শিকল C-C বন্ধনীর দ্বারা সৃষ্টি হয় না। Si-O, P-N, S-N, S-S, B-N প্রকৃতি বন্ধন দ্বারা অজৈব পলিমারের মূল কাঠামো তৈরি হয়।

২। জৈব পলিমারসমূহের গঠন ত্রিমাত্রিক, তবে সাধারণত শূন্য বিভিন্ন অংশের অবস্থান অনিয়মিত। ফলে জৈব পলিমারসমূহ স্ফটিকাকার হয় না। অন্যদিকে অজৈব পলিমারসমূহ সাধারণত সুনির্দিষ্ট প্যার্টানসহ ত্রিমাত্রিক গঠনবিশিষ্ট হয়। এ কারণে অজৈব পলিমারসমূহ সজটিকাকার হয়।

৩। জৈব পলিমারের C-C বন্ধন শক্তি প্রায় ৮৩ কিলোক্যালরী/ মোল। অর্থাৎ এ বন্ধন শক্তি মধ্যম ধরনের। অন্যদিকে অনেক অজৈব পলিমারের মূলকাঠামোর বন্ধনী শক্তি উচ্চ ধরণের। যেমনঃ- সিলিকেট ও সিলিকেট ও সিলিকোনসমূহে Si-O বন্ধনী শক্তি 106 কিলোক্যালরী।

৪। জৈব পলিমারসমূহের তাপ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিম্ন। অনেক জৈব পলিমার বাতাসে 300 ডিগ্রি তাপমাত্রায় বিয়োজিত হয়। অন্যদিকে সাধারণত অজৈব পলিমারসমূহের তাপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, এ কারণে উচ্চতর তাপমাত্রায় পিচ্ছিলকার হিসাবে কিছু কিছু অজৈব পলিমার ব্যবহৃত হয়। তবে H2Sn যৌগসমূহ সহজেই বিয়োজিত হয়।

৫। জৈব পলিমারসমূহ ক্ষার, অ্যাসিড ও জারক দ্বারা কিছুটা আক্রান্ত হয়। বিভিন্ন দ্রাবক দ্বারা ও জৈব পলিমারসমূহ আক্রান্ত হয়। অন্যদিকে সিলিকেটসমূহ সহজে অ্যাসিড বা জারক দ্বারা আক্রান্ত হয় না। তবে অন্যান্য কিছু অজৈব পলিমার এ সকল বিজারক দ্বারা অনেক সহজে আক্রান্ত হয়।

৬। -C-C- শিকল বিশিষ্ট জৈব পলিমারসমূহ আর্দ্র বিশ্লেষিত হয় না। -C-O- এবং -C-N শিকল বিশিষ্ট জৈব পলিমারসমূহ ধীরে আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়। অন্যদিকে অনেক অজৈব পলিমার সহজে আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়। তবে Si-O বন্ধনী বিশিষ্ট পলিমারসমূহ আর্দ্র বিশ্লেষিত হয় না।

Exit mobile version