Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

প্যানডেমিক এবং এপিডেমিকের মধ্যে পার্থক্য

প্যানডেমিক এবং এপিডেমিকের

প্যানডেমিক (Pandemic):

বিশ্বব্যাপী যখন কোনও রোগ ছড়িয়ে যায়, তখন তাকে প্যান্ডেমিক বলে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ করোনা ভাইরাস। এটি সহজ ভাষায় বিশ্বব্যাপী মহামারী। বিভিন্ন দেশকে একজোট হয়ে নিজেদের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী নিজেদেরকে সুস্থ রাখতে হবে। সাধারণত এই মহামারী ঘটে নতুন উদীয়মান প্যথজেনের কারণে। আবার সিডিসি এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে প্রাণীদেহ থেকে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে এমন রোগ মহামারী হতেই পারে। যেমন প্লেগ! নতুন ভাইরাসের টিকা সহজে পাওয়া যায় না, তাই সংক্রমণ হতেই পারে।

এপিডেমিক (Epidemic):

এটিও খুব একটা বেশি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে না। খুব বেশি হলেও দেশের অন্দরে এর প্রভাব দেখা গেলেও সীমিত সময়ের জন্য অস্বাভাবিক হারে একটি আক্রান্ত করে মানুষকে। এতে ভাইরাসের মিউটেশন ভালই থাকে। যখন কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে রোগের মাত্রা অপ্রত্যাশিত মোড় নেয় তখন তাকে মহামারী বলে। এটির প্রাদুর্ভাব প্রথম থেকেই লক্ষে আসে। যখন কোনও ভাইরাসের প্যথজেনের মাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, এক ব্যক্তি থেকে অন্যজনের সংক্রমণের ভয় থাকে ঠিক তখনই এটিকে এপিডেমিক বলা হয়। এইরকম একটি রোগ গুটিবসন্ত অথবা স্প্যানিশ ফ্লু এবং কুষ্ঠ।

প্যানডেমিক এবং এপিডেমিকের মধ্যে পার্থক্যঃ

প্যানডেমিক এবং এপিডেমিকের মধ্যে কিছুটা মিল থাকলেও অধিকাংশে তাদের মধ্যে অমিল রয়েছে। নিচে প্যানডেমিক এবং এপিডেমিকের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হয়েছে-

কোনো সংক্রামক রোগ যখন কোনো ভৌগোলিক অঞ্চলে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর মাঝে খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়ে পড়ে; তখন বলা হয় রোগটি মহামারী (epidemic) আকার ধারণ করেছে। পৃথিবীতে যুগে যুগে অসংখ্য মহামারীর ঘটনা ঘটেছে এবং এসব মহামারীতে মৃত্যু হয়েছে কোটি কোটি মানুষের।

অনেক সময় দেখা যায়, নানা কারণে ওই ভৌগোলিক অঞ্চলে সৃষ্ট মহামারীটি ছড়িয়ে যায় বিস্তীর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চলে, এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তখন একে শুধু মহামারী বললে এর ব্যাপকতা প্রকাশ করা যায় না। এই ক্ষেত্রে একে প্যান্ডেমিক (pandemic) বা অতিমারী বলা হয়।

যখন কোনও রোগ সারা বিশ্বে মহামারির আকার ধারণ করে তখন তাকে বলে প্যানডেমিক বা পৃথিবীব্যাপি বা বিশ্বব্যাপী মহামারি, অর্থাৎ যখন কোনও একটি রোগ গোটা পৃথিবীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখনই এটিকে প্যানডেমিক মহামারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নোভেল করোনা ভাইরাসকে (COVID-19) পৃথিবীব্যাপি মহামারি অর্থাৎ প্যানডেমিক হিসেবে ঘোষণা করেছে।

যখন কোনও মারণ রোগ একই সময়ে বিস্তীর্ণ এলাকা ধরে বিভিন্ন কমিউনিটিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তখন তাকে এপিডেমিক বা মহামারি বলে। যখন চীনের উহানের বাইরে করোনা ভাইরাস প্রথম দেখা দেয় তখন এটি প্রাদুর্ভাব হিসেবে প্রকাশ পেয়েছিল। পরে যখন আবার চীন সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন তাকে মহামারি (এপিডেমিক) হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।

Exit mobile version