পরামাত্রিক পরীক্ষা (Parametric Test)ঃ
এখানে সমগ্রকের বিন্যাস গঠন জানা থাকে এই অবস্থায় সমগ্রক পরামিতি সম্পর্কে একটি মান অনুমান করা হয়। পরে তা পরীক্ষা করা হয় অনুমানটি সত্য নাকি মিথ্যা। অনুমানের যাচাইয়ের এ পদ্ধতিকে বলা হয় পরামাত্রিক পরীক্ষা। পরামাত্রিক পরীক্ষায় যাচাইসমূহের মধ্যে জেড পরীক্ষা, টি পরীক্ষা, কাই-বর্গ পরীক্ষা এবং এফ পরীক্ষা উল্লেখযোগ্য।
অপরামাত্রিক পরীক্ষার (Non- Parametric Tests)
পরামাত্রিক পরীক্ষায় কোন নমুনা যে সমগ্রক হতে নির্বাচন করা হয় তার কোন বৈশিষ্ট্য বা পরামিতি সম্পর্কে অনুমান করা হয়। এক্ষেত্রে সমগ্রক কতকগুলো বৈশিষ্ট্য মেনে চলে। সেগুলো হলো:
(ক) বন্টনের স্বাভাবিকতা (Normality of distribution): যে সমগ্রক হতে নমুনা নির্বাচন করা হয় সে সমগ্রকের নিবেশন পরিমিত হতে হবে।
(খ) ভেদাংকের সমরূপতা (Homogenity of Variances): যে সকল নমুনার উপর পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সেগুলোর ভেদাংক একই রকম হবে।
(গ) অবিচ্ছিন্নতা (Continuity): এক্ষেত্রে যে চলকটি পরিমাপ করা হয় উহা অবিচ্ছিন্ন প্রকৃতির হতে হবে। উপরের শর্ত বা বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ধরে সমগ্রকের পরামিতির অনুমান যাচাই করাই পরামাত্রিক পরীক্ষা। যেমন: z পরীক্ষা, t পরীক্ষা এবং f পরীক্ষা।
পরামাত্রিক ও অপরামাত্রিক টেস্টের মধ্যে পাথর্ক্যঃ
১। পরামাত্রিক টেস্টের যে সমগ্রক হতে নমুনা সংগহ্র করা হয় তার সম্পর্কে পূর্ব ধারণা থাকে। অন্যদিকে অপরামাত্রিক টেস্টের যে তথ্যবিশ্ব বা সমগ্রক হতে নমুনা সংগহ্র করা হয় । তার সম্পর্কে পূর্ব ধারণা থাকার বাধ্যবাধকতা নেই।
২। পরামাত্রিক টেস্টের স্বাভাবিক সম্ভাবনা বণ্টন তত্ত্বের উপর নির্ভর করে। অন্যদিকে অপরামাত্রিক টেস্টের কোন বণ্টন তত্ত্বের উপর নির্ভর করে না।
৩। পরামাত্রিক টেস্টের কেন্দ্রিয় প্রবণতার পরিমাপ হিসেবে গড় বা মিন ব্যবহার করে। পক্ষান্তরে অপরামাত্রিক টেস্টের কেন্দ্রিয় প্রবণতার পরিমাপ হিসেবে মিডিয়ান বা মধ্যক ব্যবহার করে।
৪। পরামাত্রিক টেস্টে সমগ্রকের মাত্রা সম্বন্ধে কতগুলো বিশেষ অনুমিতি বা assumption থাকে। অন্যদিকে অপরামাত্রিক টেস্টে কিছু অনুমিতির উপর নিভর্রশীল হলেও এগুলো পরামাত্রিক টেস্টের মত জটিল অনুমিতি নয়। ব্যবহার করা সুবিধাজনক।
৫। অপরামাত্রিক টেস্টের তুলনায় শক্তিশালী। অন্যদিকে গাণিতিক হিসাব পরামাত্রিক টেস্টের চেয়ে সরল।