সমগ্রক (Population):
গবেষণার নমুনায়নের ক্ষেত্রে প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে- কোথা থেকে অর্থাৎ কাদের কাছ থেকে বা কোন কোন উৎস থেকে উপাত্ত সংগৃহীত হবে। উপাত্ত সংগ্রহের এ নির্ধারিত উৎস বা অংশের সমষ্টিকে বলা হয় সমগ্রক বা তথ্যবিশ্ব। গবেষণার মাধ্যমে গবেষক কাদের বা কোন বিষয় সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে চান বা যাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিবেন তাদের সকলেই তথ্য বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ সমগ্রক বলতে অনুসন্ধান ক্ষেত্রের সমস্ত বিষয়বস্তুকে বুঝায়।
যেমন- একজন শিক্ষক তার উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ̧লোতে নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয় পাঠে অনীহার কারণ জানতে চান। এক্ষেত্রে ঐ উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঐ সময়ে অধ্যয়নরত নবম ও দশম শ্রেণির সকল বিজ্ঞান শিক্ষার্থীকে নিয়েই গবেষণাটির তথ্য বিশ্ব বা সমগ্রক গঠিত হবে।
নমুনা (Sample):
কোন সমগ্রকের সকল উপাদান থেকে কিছু সংখ্যক উপাদান নিয়ে গঠিত প্রতিনিধিত্বকারী অংশকে ঐ সমগ্রকের নমুনা বলে। যেমন- ধানমন্ডি লেকের সব মাছ না নিয়ে কিছু সংখ্যক প্রতিনিধিত্বকারী মাছ নিয়ে যদি কোন গবেষণা করা হয়, তবে ঐ প্রতিনিধিত্বকারী মাছ গুলোর সবকটি একটি নমুনা তৈরি করবে।
সমগ্রক ও নমুনার মধ্যে পার্থক্য:
কোন সমগ্রকের সকল উপাদান থেকে কিছু সংখ্যক উপাদান নিয়ে গঠিত প্রতিনিধিত্বকারী অংশকে ঐ সমগ্রকের নমুনা বলে। সমগ্রক ও নমুনার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। কোন নিদিষ্ট বৈশিষ্ট্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি, বস্তু, বা পদের সামগ্রিক রূপ হলো সমগ্রক। অন্যদিকে, সমগ্রকের একটি নির্বাচিত অংশ হল নমুনা।
২। নমুনা হল সমগ্রকের প্রতিনিধি। অন্যদিকে, নমুনা কখনই সমগ্রকের হুবহু ব্যখ্যা হতে পারে না। বরং নমুনা হল সমগ্রকের Approximation.
৩। সমগ্রকের উপাত্তের উপর ভিত্তি করে যে নির্ভরণ অপেক্ষক তৈরী করা হয় তাকে বলা হয় PRF (Population Regression Function)। অন্যদিকে, নমুনার উপাত্তের উপর ভিত্তি করে যে নির্ভরণ অপেক্ষক তৈরী করা হয় তাকে বলা হয় SRF (Sample Regression Function)।
৪। নমুনা হলো সমগ্রকের অংশ বিশেষ। অন্যদিকে, নমুনার তুলনায় সমগ্রকের পরিধি অনেক বেশি বিস্তৃত হয়।
৫। সমগ্রকের উপর ভিত্তি করে যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় তার উপর যথেষ্ট আস্থা রাখা যায়। অন্যদিকে, নমুনার ভিত্তিতে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় তা অনেক ক্ষেত্রেই যথার্থ হয় না।