প্রাথমিক উপাত্ত (Primary Data):
যে তথ্য প্রথমবার সংগ্রহ করা হয় তাকে প্রাথমিক উপাত্ত বলা হয়। এ ধরনের উপাত্ত অনেকটা আলোচিত। বিভিন্ন ধরনের জরিপের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন ব্যক্তি এ ধরনের উপাত্ত সংগ্রহ করে থাকে। উপাত্ত সংগ্রহের সকল পদ্ধতিরই কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। কোন একক পদ্ধতিই সম্পূর্ণভাবে ত্রুটিমুক্ত নয়। একই উপাত্ত সংগ্রহের জন্য অনেক সময় একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। প্রাথমিক উপাত্ত নিম্নের যে কোন একটি পদ্ধতির মাধ্যমে সংগ্রহ করা যেতে পারে।
১। প্রত্যক্ষ ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার;
২। পরোক্ষ মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদ;
৩। স্থানীয় সংস্থা বা যোগাযোগকারীর মাধ্যমে
৪। প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে।
মাধ্যমিক উপাত্ত (Secondary Data):
Secondary data বা মাধ্যমিক উপাত্ত হলো সেই তথ্য যা ইতিমধ্যেই প্রাথমিক উৎসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি এমন এক ধরনের তথ্য যা পূর্বে সংগ্রহ করা হয়েছে। মাধ্যমিক তথ্য হল সেই ডেটা যা ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং যেটি অন্যান্য উৎস থেকে সহজেই পাওয়া যায়। এই ধরনের ডেটা প্রাথমিক তথ্য তুলনায় সস্তা এবং দ্রুত পাওয়া যায়।
যখন কোন ডেটা পুন:ব্যবহার করা হয় তখন এটি প্রথম গবেষণার জন্য প্রাইমারি ডেটা এবং দ্বিতীয় গবেষণার জন্য মাধ্যমিক উপাত্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। মাধ্যমিক উপাত্তের উৎসের মধ্যে রয়েছে বই, ব্যক্তিগত উৎস, জার্নাল, সংবাদপত্র, ওয়েবসাইট, সরকারি রেকর্ড, ব্লগ, ডায়েরি, ভিডিও ডকুমেন্ট ইত্যাদি।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য:
Secondary data বা মাধ্যমিক উপাত্ত হলো সেই তথ্য যা ইতিমধ্যেই প্রাথমিক উৎসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। যে তথ্য প্রথমবার সংগ্রহ করা হয় তাকে প্রাথমিক উপাত্ত বলা হয়। অন্যদিকে Secondary data বা মাধ্যমিক উপাত্ত হলো সেই তথ্য যা ইতিমধ্যেই প্রাথমিক উৎসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে।
২। প্রাথমিক তথ্যটি গবেষক নিজে নিজেই জড়ো হওয়া প্রথম হাতের তথ্যকে বোঝায়। অন্যদিকে মাধ্যমিক ডেটা মানে অন্য কারও দ্বারা সংগৃহীত ডেটা।
৩। সমীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রশ্নাবলী, ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার ইত্যাদির মাধ্যমে প্রাথমিক উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। অন্যদিকে সরকারী প্রকাশনা, ওয়েবসাইট, বই, জার্নাল নিবন্ধ, অভ্যন্তরীণ রেকর্ডস ইত্যাদি দ্বারা মাধ্যমিক উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়।
৪। প্রাথমিক উপাত্ত সংগ্রহ ব্যয়বহুল। অন্যদিকে মাধ্যমিক উপাত্ত সংগ্রহ অর্থনৈতিক।
৫। প্রাথমিক উপাত্ত সংগ্রহ সর্বদা গবেষকের প্রয়োজনগুলির সাথে নির্দিষ্ট। অন্যদিকে মাধ্যমিক উপাত্ত সংগ্রহ গবেষকের প্রয়োজনের সাথে নির্দিষ্ট হতে পারে বা নাও হতে পারে।
৬। প্রাথমিক উপাত্ত সংগ্রহ নির্ভুলতা এবং নির্ভরযোগ্যতা আরও । অন্যদিকে মাধ্যমিক উপাত্ত সংগ্রহ নির্ভুলতা এবং নির্ভরযোগ্যতা তুলনামুলক কম।
৭। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আদমশুমারী বা অন্য কোন জরীপে প্রথমবারের মত যে উপাত্ত সংগ্রহ করে তাকে প্রাথমিক উপাত্ত বলে। আবার অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা গবেষক যখন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত উপাত্ত ব্যবহার করে তখন সে উপাত্তকে বলা হয় মাধ্যমিক উপাত্ত। মাধ্যমিক উপাত্ত পরিমার্জিত অবস্থা থাকে। কোন তথ্য সংগ্রাহককে বা গবেষণাকারীকে প্রথমে উপাত্ত সংগ্রহের পদ্ধতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।