প্রতিকার এবং প্রতিরোধ, উভয়ই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য এবং কার্যপদ্ধতিতে পার্থক্য রয়েছে। নিচে প্রতিকার ও প্রতিরোধের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে-
প্রতিকার (Remedy):
প্রতিকার হলো এমন ব্যবস্থা বা চিকিৎসা যা কোনো রোগ বা সমস্যা হলে তাকে সমাধান করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত রোগের লক্ষণগুলি হ্রাস বা নির্মূল করার জন্য ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মাথাব্যথা হলে পেনকিলার খাওয়া, সর্দি-কাশি হলে ঔষধ গ্রহণ করা—এই সবই প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা।
প্রতিরোধ (Prevention):
প্রতিরোধ হলো এমন ব্যবস্থা যা রোগ বা সমস্যা হতে আটকাতে সহায়ক হয়। এর উদ্দেশ্য হলো রোগের উৎপত্তি হওয়ার আগে ব্যবস্থা নেওয়া যাতে রোগটি না হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভ্যাকসিনেশন করা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা ইত্যাদি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
প্রতিকার ও প্রতিরোধের মধ্যে পার্থক্যঃ
১। কোনো রোগ বা সমস্যা যখন হয়ে গেছে, তখন তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাকে প্রতিকার বলে। অন্যদিকে, কোনো রোগ বা সমস্যা যাতে হতে না পারে, সেজন্য আগে থেকে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাকে প্রতিরোধ বলে।
২। যখন কোন অসুখ, ঝামেলা, সমস্যা ইত্যাদি হয়ে যাওয়ার পর তা সুস্থ, মুক্ত বা সমাধান করার পক্রিয়াকে প্রতিকার বলা হয়। অন্যদিকে, উক্ত অসুখ, ঝামেলা, সমস্যা যাতে তৈরিই না হয় তার পদক্ষেপ নিয়ে মোকাবেলা করার পক্রিয়াকে প্রতিরোধ বলা হয়।
৩। ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে ফেলে, তাহলে শরীরের ভীতরে ভাইরাসকে নিশ্চিহ্ন করাই হল প্রতিকার। প্রতিকার মানে হচ্ছে রোগ মুক্ত হওয়া বা সেরে উঠা। অন্যদিকে, প্রতিরোধ মানে বাধা প্রদান করা। যেমন ভাইরাস যেনো শরীরে প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য নিজেকে সুরক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা।
৪। আপনি সর্দি হয়েছেন। এখন আপনি সর্দি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন। এটি হল সর্দির প্রতিকার। কিন্তু আগামীতে সর্দি না হওয়ার জন্য আপনি হাত ধুয়ে থাকছেন, মাস্ক পরছেন ইত্যাদি। এটি হল সর্দির প্রতিরোধ।