রম্বস:
যে সামান্তরিকের দুইটি সন্নিহিত বাহু সমান, তাকে রম্বস বলে। প্রকৃতপক্ষে, রম্বস এমন একটি সামান্তরিক যার বাহুগুলো পরস্পর সমান।যার একটি কোণও সমকোণ নয়। রম্বস কে অনেক সময় ডায়মন্ড বলা হয় কারণ এটি দেখতে অনেকটা ডায়মন্ডের মত। চারটি বাহুর দৈর্ঘ্য পরস্পর সমান হওয়ার কারণে এটি কে সমবাহু চতুর্ভুজও বলা হয়। রম্বসের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমকোণে সমদ্বিখণ্ডিত করে। রম্বসের বিপরীত কোণগুলো পরস্পর সমান। কর্নদ্বয় কোণগুলোকে সমদ্বিখন্ডিত করে।
বর্গক্ষেত্র:
সমতলীয় জ্যামিতিতে বর্গক্ষেত্র বলতে ৪টি সমান বাহু বা ভূজ বিশিষ্ট বহুভূজ, তথা চতুর্ভূজকে বোঝায়, যার প্রত্যেকটি অন্তঃস্থ কোণ এক সমকোণ বা নব্বই ডিগ্রীর সমান। যে চতুর্ভুজের চারটি বাহুই পরস্পর সমান ও সমান্তরাল এবং কোণ গুলো সমকোণ তাকে বর্গক্ষেত্র বলে। অন্যভাবেও বলা যায়, আয়তক্ষেত্রের দুটি সন্নিহিত বাহু সমান হলে তাকে বর্গ বলে।
একটি বর্গক্ষেত্র, যার প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য s, তার পরিসীমার P পরিমাপের সূত্র হলো- P= 4s
এবং বর্গক্ষেত্রটির ক্ষেত্রফল A পরিমাপের সূত্র হলো- A=s^2
বর্গ বলতে অনেক সময় কোন সংখ্যার দ্বিতীয় শক্তিমাত্রা (2nd power) বোঝানো হয়ে থাকে।
রম্বস ও বর্গক্ষেত্রের মধ্যে পার্থক্যঃ
প্রকৃতপক্ষে, রম্বস এমন একটি সামান্তরিক যার বাহুগুলো পরস্পর সমান। নিম্নে রম্বস ও বর্গক্ষেত্রের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হলো-
১। যে সামান্তরিকের দুইটি সন্নিহিত বাহু সমান, তাকে রম্বস বলে। অন্যদিকে যে চতুর্ভুজের চারটি বাহুই পরস্পর সমান ও সমান্তরাল এবং কোণ গুলো সমকোণ তাকে বর্গক্ষেত্র বলে।
২। রম্বসের বিপরীত কোণ গুলো পরস্পর সমান। অন্যদিকে বর্গক্ষেত্রের প্রত্যেকটি কোণ সমকোণ হয় অর্থাৎ প্রত্যের কোনের পরিমান ৯০ ডিগ্রি।
৩। রম্বসের সকল বাহু সমান হয়। অন্যদিকে বর্গক্ষেত্রের সকল বাহু সমান হয়।
৪। রম্বসের কর্ণদ্বয় অসমান অর্থাৎ সমান নয়। অন্যদিকে বর্গক্ষেত্রের কর্ণদ্বয় পরস্পর সমান হয়।
৫। রম্বসের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমকোণে সমদ্বিখন্ডিত করে। অন্যদিকে বর্গক্ষেত্রের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমকোনে সমদ্বিখন্ডিত করে।
পার্থক্য
আরও পার্থক্য পড়ুন
রম্বস ও সামান্তরিকের মধ্যে পার্থক্য
কার্ডিয়াক এবং কঙ্কাল পেশীর মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদ্য এবং উপপাদ্যের মধ্যে পার্থক্য