নমুনা (Sample):
কোন সমগ্রকের সকল উপাদান থেকে কিছু সংখ্যক উপাদান নিয়ে গঠিত প্রতিনিধিত্বকারী অংশকে ঐ সমগ্রকের নমুনা বলে। যেমন- ধানমন্ডি লেকের সব মাছ না নিয়ে কিছু সংখ্যক প্রতিনিধিত্বকারী মাছ নিয়ে যদি কোন গবেষণা করা হয়, তবে ঐ প্রতিনিধিত্বকারী মাছ গুলোর সবকটি একটি নমুনা তৈরি করবে।
নমুনায়ন (Sampling):
তথ্যবিশ্ব হতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করে নমুনা সংগ্রহ করা হয় সে পদ্ধতিকেই নমুনায়ন বলে। অর্থাৎ যে পদ্ধতিতে তথ ̈বিশ্বের একটি অংশ হতে তথ্য সংগ্রহ, পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করা হয় সে পদ্ধতিকে নমুনায়ন বলে। নমুনায়ন সম্পর্কে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে মতামত ব্যক্ত করেছেন। নিম্নে সে বিষয়ে আলােচনা করা হলাে :
S. P. Gupta এবং M. P. Gupta এর মতে, “Sampling is only a total which helps to know the characteristics of the universe or population by examining only a small part of it.” অথাৎ, নমুনায়ন হলাে সমগ্রকের একটি পরীক্ষালব্ধ অংশমাত্র যা সমগ্রকের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে পারে। তারা নমুনায়নের সংজ্ঞায় সমগ্রক সম্পর্কে প্রতিনিধিত্বকে আলােচনায় এনেছেন। মূলত সমগ্রকের একটি উপযুক্ত প্রতিনিধি নমুনায়নের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।
Black ও Champion এর মতে, “The process of drawing those elements from the larger population or universe is called sampling.” অর্থাৎ, নমুনায়ন হলাে বৃহত্তর সমগ্রক থেকে কিছু উপাদান বাছাই করার প্রক্রিয়া।
নমুনা ও নমুনায়নের মধ্যে পার্থক্য:
কোন সমগ্রকের সকল উপাদান থেকে কিছু সংখ্যক উপাদান নিয়ে গঠিত প্রতিনিধিত্বকারী অংশকে ঐ সমগ্রকের নমুনা বলে। নমুনা ও নমুনায়নের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। কোন সমগ্রকের সকল উপাদান থেকে কিছু সংখ্যক উপাদান নিয়ে গঠিত প্রতিনিধিত্বকারী অংশকে ঐ সমগ্রকের নমুনা বলে। অন্যদিকে তথ্যবিশ্ব হতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করে নমুনা সংগ্রহ করা হয় সে পদ্ধতিকেই নমুনায়ন বলে।
২। নমুনা হলো সমগ্রকের প্রতিনিধিত্বশীল বা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ক্ষুদ্র অংশ অনুসন্ধান বা বিশ্লেষণের জন্য নির্বাচন করা হয়। অন্যদিকে যে প্রক্রিযাতে নমুনা সংগ্রহ করা হয় তাই নমুনায়ন।
৩। নমুনা হচ্ছে কোন সমগ্রকের পরিসংখ্যানিক সীমিত উপসেট। অন্যদিকে নমুনায়ন এমন একটি পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি যার সাহায্যে নমুনা নির্বাচন করা যায়।