Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

নমুনায়ন ও অনমুনায়ন ত্রুটির মধ্যে পার্থক্য

নমুনায়ন ও অনমুনায়ন ত্রুটির

নমুনায়ন ত্রুটি (Sampling Error):

তথ্যবিশ্বের প্রতিটি এককের পরিবর্তে এর কিছু অংশের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তথ্যবিশ্বের পরামিতি প্রাক্কলন বা নিরূপণ করা হয়। এতে কিছুটা তারতম্য তথা ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। এ ত্রুটিকে নমুনায়ন ত্রুটি বলে। সুতরাং নমুনার ভিত্তিতে সমগ্রকের (তথ্যবিশ্বের) পরামিতি নিরূপন করলে পরামিতি ও এর নিরূপিত মানে যে তারতম্য থাকে তাকে নমুনায়ন ত্রুটি বলে। নমুনায়নের ক্ষেত্রেই শুধু নমুনায়ন ত্রুটি ঘটে। শুমারীর ক্ষেত্রে নমুনায়ন ত্রুটি ঘটেনা।

অনমুনায়ন ত্রুটি (Non sampling Error):

নমুনায়ন ত্রুটি ছাড়াও নমুনা জরিপ এবং শুমারী জরিপে বিশেষ এক ধরনের ত্রুটি সংঘটিত হয়। শুমারী এবং নমুনাজরিপ সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তরেই এ ত্রুটির উদ্ভব হয়। এটি তাত্ত্বিকভাবে সৃষ্টি হয় না এবং ব্যবহারিক কাজের সময় ঘটে থাকে। বিশেষ ধরনের এ ত্রুটিকে অনমুনায়ন ত্রুটি বলে। একে সময় সময় পক্ষপাতদুষ্ট ত্রুটি বা নিয়মতান্ত্রিক ত্রুটি বলা হয়। এ ত্রুটি পরিমাপ করা যায় না তবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

নমুনায়ন ও অনমুনায়ন ত্রুটির মধ্যে পার্থক্য:

তথ্যবিশ্বের প্রতিটি এককের পরিবর্তে এর কিছু অংশের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তথ্যবিশ্বের পরামিতি প্রাক্কলন বা নিরূপণ করা হয়। নমুনায়ন ও অনমুনায়ন ত্রুটির মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। তথ্যবিশ্বের প্রতিটি এককের পরিবর্তে এর কিছু অংশের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তথ্যবিশ্বের পরামিতি প্রাক্কলন বা নিরূপণ করা হয়। এতে কিছুটা তারতম্য তথা ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। এ ত্রুটিকে নমুনায়ন ত্রুটি বলে। অন্যদিকে বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তরেই এ ত্রুটির উদ্ভব হয়। এটি তাত্ত্বিকভাবে সৃষ্টি হয় না এবং ব্যবহারিক কাজের সময় ঘটে থাকে। বিশেষ ধরনের এ ত্রুটিকে অনমুনায়ন ত্রুটি বলে।

২। নমুনায়ন ত্রুটি নমুনা জরিপের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। অন্যদিকে অনমুনায়ন ত্রুটি নমুনা জরিপ ও শুমারি জরিপ উভয় ক্ষেত্রে ঘটে থাকে।

৩। নমুনার আকার ছোট হলে নমুনায়ন ত্রুটি বেশি হয়। অন্যদিকে নমুনার আকার ছোট হলে অনমুনায়ন ত্রুটি কম হয়।

৪। নমুনায়ন ত্রুটি পরিমাপ করা সম্ভব। অন্যদিকে অনমুনায়ন ত্রুটি পরিমাপ করা সম্ভব নয়।

Exit mobile version