লিঙ্গ ও জেন্ডার সমার্থক নয়। লিঙ্গের উল্লেখ মানেই এর সঙ্গে জীববিজ্ঞান, অর্থাৎ ব্যক্তির জননকোষ, ক্রোমোজোম, হরমোন ও প্রজনন অঙ্গ সম্পর্কিত। আর ব্যক্তির জেন্ডারের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তির মনস্তত্ত্ব, আচার-আচরণ, অঙ্গভঙ্গি, সামাজিকতাবোধ ইত্যাদি। ফলে রোগীদের মধ্যে দুটি বিষয়ের পার্থক্য নির্ণয় করতে না পারলে চিকিৎসায় বড় ধরনের ফাঁক থেকে যেতে পারে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সেইন্ট অ্যান্ড্রুজ ইউনিভার্সিটির একদল মেডিক্যাল গবেষক বলছেন, প্রায় সময়ই চিকিৎসকরা লিঙ্গ ও জেন্ডারের পার্থক্য গুলিয়ে ফেলেন। এতে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ভুল চিকিৎসা অথবা চিকিৎসা অকার্যকর হয় বলে প্রমাণ মিলেছে। তাই লিঙ্গ ও জেন্ডারের মধ্যে পার্থক্য বের করে চিকিৎসা দিয়ে কার্যকর হবে।
লিঙ্গ ও জেন্ডারের মধ্যে পার্থক্যঃ
ব্যক্তির জননকোষ, ক্রোমোজোম, হরমোন ও প্রজনন অঙ্গ সম্পর্কিত। লিঙ্গ ও জেন্ডারের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেখানো হয়েছে-
১। লিঙ্গ ব্যাপারটি জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত; যার মাধ্যমে নারী-পুরুষের জৈবিক পার্থক্য তুলে ধরা হয়। অন্যদিকে, নারী ও পুরুষের সামাজিক পার্থক্য প্রসঙ্গে জেন্ডার শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
২। লিঙ্গ বা নারী-পুরুষের জৈবিক পার্থক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্যগুলো শারীরিক, সর্বজনীন, অপরিবর্তনীয় ও প্রাকৃতিক। অন্যদিকে, জেন্ডার অর্থাৎ নারী-পুরুষের ওপর সামাজিকভাবে আরোপিত পার্থক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্ত্বিক। ব্যক্তির সামাজিক দায়দায়িত্ব, আচরণ ও প্রত্যাশা জেন্ডার শব্দটির সঙ্গে সম্পৃক্ত; যা স্থান, কাল, সমাজ, সংস্কৃতিভেদে ভিন্ন, পরিবর্তনীয় এবং অনেক সময় ইতিহাসনির্ভরও হতে পারে।
৩। লিঙ্গের উল্লেখ মানেই এর সঙ্গে জীববিজ্ঞান, অর্থাৎ ব্যক্তির জননকোষ, ক্রোমোজোম, হরমোন ও প্রজনন অঙ্গ সম্পর্কিত। অন্যদিকে, ব্যক্তির জেন্ডারের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তির মনস্তত্ত্ব, আচার-আচরণ, অঙ্গভঙ্গি, সামাজিকতাবোধ ইত্যাদি।