অভাবঃ
প্রয়োজন যখন বক্তার সংস্কৃতি এবং ব্যক্তিত্ব দ্বারা অনুমোদিত হয় তখন থেকে অভাব বলে। সাধারণ অর্থে অভাব বলতে আর্থিক অনটনকে বোঝায় । কিন্তু অর্থনীতিতে অভাব শব্দটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয় । অর্থনীতিতে কোন কিছু পাওয়া বা কোন দ্রব্য বা সেবা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে অভাব বলে । বস্তুতপক্ষে, মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই অভাবের উদ্ভব। আর অভাব পূরণের জন্য নানাবিধ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গৃহীত হচ্ছে । মূলত: মানুষের সর্বপ্রকার অর্থনৈতিক কার্যাবলির পেছনে রয়েছে অভাববোধ।
চাহিদাঃ
অর্থনীতিতে চাহিদা হল কোনো পণ্য বা সেবা দ্রব্যের উপযোগের প্রয়োজনীয়তা। চাহিদাকারী হল একটি নির্দিষ্ট পরিমান পণ্য বা সেবা গ্রহণের উদ্যেশ্যে ব্যয় করার ইচ্ছা। একজন ক্রেতা বিভিন্ন দামে যে পরিমাণ দ্রব্য বা সেবা পেতে ইচ্ছুক তার পরিমাণের দ্বারা চাহিদা প্রকাশ করা হয়।কোনো নির্দিষ্ট দামে ভোক্তা যে পরিমাণ দ্রব্য ক্রয় করতে আগ্রহী হয় তার পরিমাণকে চাহিদার পরিমাণ বলে। দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যকার সম্পর্ককে চাহিদা বলা হয়।
অভাব এবং চাহিদার মধ্যে পার্থক্যঃ
অর্থনীতিতে কোন কিছু পাওয়া বা কোন দ্রব্য বা সেবা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে অভাব বলে। অভাব এবং চাহিদার মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হয়েছে-
১। প্রয়োজন যখন বক্তার সংস্কৃতি এবং ব্যক্তিত্ব দ্বারা অনুমোদিত হয় তখন থেকে অভাব বলে। অন্যদিকে, দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যকার সম্পর্ককে চাহিদা বলা হয়।
২। অভাব হল কোন বস্তু বা সেবা পাবার ইচ্ছা বা আকাঙ্খা। অন্যদিকে, চাহিদা হলো একটা জিনিস আপনার প্রয়োজন বা দরকার।
৩। অভাব = প্রয়োজন + সংস্কৃতি ও ব্যক্তিত্ব । অন্যদিকে চাহিদা = অভাব + ক্রয়ের সামর্থ্য এবং অর্থ ব্যয়ের ইচ্ছা।
৪। অভাব হলো একটা জিনিস আপনার প্রয়োজন কিন্তু তা কোনো ভাবেই মেটানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে, যে বস্তু ব্যক্তির প্রয়োজনীয়তায় বিদ্যমন তাই চাহিদা ।