বর্তমানে স্মার্টওয়াচ ও স্মার্ট ফিটনেস ব্যান্ড বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সারাদিন আমার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এই স্মার্ট গ্যাজেটগুলো। সেই সঙ্গে সারাদিন কতখানি হাঁটলেন, ব্যায়াম করলেন, কতটা ক্যালরি ঝরলো, ঘুমের সময় সব কিছুই খেয়াল রাখছে এগুলো। নিচে স্মার্টওয়াচ এবং ফিটনেস ব্যান্ডের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে-
স্মার্টওয়াচ এবং ফিটনেস ব্যান্ডের মধ্যে পার্থক্য :
স্মার্টফোনের ছোট একটি সংস্করণই হলো স্মার্টওয়াচ। ভিড়, বাসের মধ্যে পকেট থেকে ফোন বার করার উপায় থাকে না অনেক সময়েই। তখন এই যন্ত্রটিই ভরসা। স্মার্টওয়াচের সাহায্যে ফোনে কথা বলা, মেসেজ দেখা, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের নোটিফিকেশন সবই করা যায়। আবার অনেকেই মনে করেন ফিটনেস ব্যান্ড শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য। উচ্চ রক্তচাপ, হূত্স্পন্দন থেকে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা—সবই মাপা যায় এই যন্ত্রে। সারাদিনে কত পা হাঁটলেন বা কতটা শরীরচর্চা করলেন, তা বোঝা যায় ক্যালরি পোড়ার মাত্রা দেখে।
স্মার্টওয়াচের মধ্যে সবধরনের ফিটনেস ট্র্যাকার থাকে। এর মধ্যে রয়েছে জিপিএস। প্রত্যেকের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী আলাদা করে ক্যালরি মাপার সুবিধাও দেওয়া থাকে। এ ছাড়া, গানের প্লে লিস্ট, ওয়্যারলেস হেডসেটের জন্য ব্লুটুথ, ফোন ছাড়াই কথা বলার জন্য মাইক সবই রয়েছে। চাইলে ফোনের সঙ্গে স্মার্টওয়াচ যুক্ত না করলেও স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে পারে এই যন্ত্রটি। স্মার্টওয়াচের দাম একটু হলেও বেশি। ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে স্মার্টওয়াচের দাম ৫০ হাজার বা লক্ষাধিকও হতে পারে।
ফিটনেস ব্যান্ড তত স্মার্ট নয়। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে কিন্তু ফিটনেস ব্যান্ডের চাহিদা রয়েছে। কারণ, ফিটনেস ব্যান্ডগুলোর ডিসপ্লে স্মার্টওয়াচের থেকে আকারে ছোট। স্মার্টওয়াচের মতো চট করে ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। ঘুমোনোর সময়েও এই ধরনের ব্যান্ডগুলো পরে শোয়া যায়। সর্বোপরি, স্মার্টওয়াচের থেকে ফিটনেস ব্যান্ডের দামও কম। বাজারে নানা সংস্থার ফিটনেস ব্যান্ড রয়েছে। ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নানা রকম বিকল্প রয়েছে।