Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

সোশিওপ্যাথ ও সাইকোপ্যাথের মধ্যে পার্থক্য

সোশিওপ্যাথ ও সাইকোপ্যাথের

সাইকোপ্যাথ এবং সোসিওপ্যাথ প্রায়শই সাধারণ বক্তৃতায় বিনিময়যোগ্যভাবে ব্যবহার করা হয় এমন একজন ব্যক্তিকে বর্ণনা করার জন্য যিনি প্যাথলজিক্যালভাবে অপরাধমূলক বা হিংসাত্মক আচরণের জন্য প্রবণ এবং অন্যদের অনুভূতি বা স্বার্থের প্রতি কোন গুরুত্ব নেই এবং তার অপরাধের জন্য অনুশোচনা বা অপরাধবোধের কোন অনুভূতি নেই।

যদিও পরিভাষাগুলি বৈজ্ঞানিক সাহিত্যেও ব্যবহার করা হয় (মানসিক ব্যাধিগুলির ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল, বা ডিএসএম সহ), সেগুলি সেখানে ভালভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি; মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদাররা এর পরিবর্তে সাইকোপ্যাথি এবং সোসিওপ্যাথি উভয়কেই অসামাজিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি (APDs) এর ধরন হিসাবে বুঝতে পছন্দ করেন, প্রতিটি অবস্থাকে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত বৈশিষ্ট্য দ্বারা আলাদা করা হয় তবে উভয়ের মধ্যে অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

সোশিওপ্যাথ ও সাইকোপ্যাথের মধ্যে পার্থক্যঃ
১. সোশিওপ্যাথরা সাধারণত পরিবেশগত কারণে তৈরি হয়। অর্থাৎ, তাদের বেড়ে ওঠার পরিবেশ, যেমন শৈশবকালীন নির্যাতন, অবহেলা, অস্থির পরিবার ইত্যাদি, তাদের এই অবস্থায় পৌঁছে দেয়। অন্যদিকে, সাইকোপ্যাথরা সাধারণত জন্মগতভাবেই এই অবস্থায় থাকে। তাদের মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকলাপ স্বাভাবিক মানুষের থেকে ভিন্ন হয়।

২. মাইকেল টপকিন্স নামের একজন সাইকোলজিস্ট এবং রাইটার এর মতে, একজন সাইকোপ্যাথির মধ্যে বিবেকের তাড়না কাজ করে না। সে আপনার ক্ষতি করার জন্য আপনাকে মিথ্যা বলতে পারে, কিন্তু তার জন্য তার ভিতরে কোন অনুশোচনা কাজ করে না। অন্যদিকে, সোশিওপ্যাথির মধ্যে আবার বিবেকবোধ কাজ করে কিন্তু তা এতটাই দুর্বল যে, তা তাকে ভুল কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে না।

৩. সাইকোপ্যাথরা সাধারণত জন্মগতভাবে তাদের মানসিক অবস্থার প্রতি প্রবণ। এটি একটি জেনেটিক বা নিউরোডেভেলপমেন্টাল সমস্যা হতে পারে। অন্যদিকে, সোশিওপ্যাথদের মধ্যে তাদের আচরণের জন্য পরিবেশগত বা সামাজিক প্রভাব বেশি হতে পারে, যেমন কঠিন জীবনের অভিজ্ঞতা বা প্রাথমিক জীবনের ট্রমা।

৪. সোশিওপ্যাথরা প্রায়শই সামাজিক যোগাযোগ করতে পারে এবং কিছু সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। তবে, এই সম্পর্কগুলি সাধারণত অস্থির হয় এবং তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, সাইকোপ্যাথরা প্রায়শই সামাজিক যোগাযোগ করতে পারে এবং অন্যদের সাথে মিশ্রিত হতে পারে। তবে, তারা সত্যিকারেরভাবে অন্যদের যত্ন করে না এবং তাদেরকে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ব্যবহার করে।

৫. সোশিওপ্যাথরা প্রায়শই আকস্মিক ও অবাধ্য আচরণ করে। তারা সামাজিক নিয়মকানুনকে উপেক্ষা করে এবং অন্যদের ক্ষতি করতে পারে। অন্যদিকে, সাইকোপ্যাথরা প্রায়শই ঠান্ডা মাথায় এবং পরিকল্পিতভাবে অপরাধ করে। তারা অন্যদের মানসিকভাবে নির্যাতন করতে পারে এবং হত্যা করতেও পারে।

Exit mobile version