সয়াবিন তেলঃ
সয়াবিন, বা সোয়া বীজ, পূর্ব এশিয়ায় লেজুয়েম প্রজাতির একটি প্রজাতি। ফ্যাট মুক্ত সয়াবিন খাবার পশুখাদ্য এবং অনেক প্যাকেজযুক্ত খাবারের জন্য প্রোটিনের একটি উল্লেখযোগ্য এবং সস্তা উৎস। বেশিরভাগ গাছের মতো, বীজ থেকে পুরোপুরি পরিপক্ক গাছগুলিতে বিকাশ হিসাবে সয়াবিন স্বতন্ত্র মর্ফোলজিকাল পর্যায়ে বেড়ে যায় বৃদ্ধির প্রথম পর্যায়টি অঙ্কুরণ, একটি পদ্ধতি যা প্রথম বীজের রডিকাল হিসাবে আবির্ভূত হয়। এটি রুট বৃদ্ধির প্রথম পর্যায় এবং এটি আদর্শ ক্রমবর্ধমান অবস্থার অধীনে প্রথম ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটে। প্রথম আলোক সংশ্লেষক গঠন, কোটলডনগুলি হিপোকটাইল থেকে বিকাশ হয়, প্রথম উদ্ভিদ কাঠামো মাটি থেকে উদ্ভূত হয়।
২০১৬ সালে সোয়াবিন ক্রমবর্ধমান মূল দেশগুলি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (বিশ্বের মোট ৩৫%), ব্রাজিল (২৯%) এবং আর্জেন্টিনা (১৮%)। ২০১৭-২০১৮ সালে সোয়াবিনের বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ৩৩৭ মিলিয়ন টন হতে পারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা বিশ্বের বৃহত্তম সোয়াবিন উৎপাদক। সোয়াবিন বীজে ১৮-১৯% তেল রয়েছে। বীজ থেকে সোয়াবিন তেল বের করার জন্য সয়াবিনগুলিকে ক্র্যাক করা হয়, আর্দ্রতার জন্য সমন্বয় করা হয়, ফ্লেক্সে রোল এবং দ্রাবক-বাণিজ্যিক হেক্সেনের সাথে বের করা হয়। তেল তারপর বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য মিশ্রিত, পরিমার্জিত, এবং কখনও কখনও hydrogenated করা হয়। “উদ্ভিজ্জ তেল” হিসাবে বিক্রি করা হয়।
সরিষার তেলঃ
সরিষার তেল বা সর্ষের তেল সর্ষের বীজ নিষ্পেষণ দ্বারা প্রস্তুত তেল। এই তেল রান্নার জন্যে, এবং গায়ে মাখা বা মালিশ করার কাজে ব্যবহার হয়। সর্ষের তেলের ঝাঁঝের জন্যে সর্ষের তেলের রান্নার আলাদা বিশেষত্ব আছে।
সর্ষের তেলের ঝাঁঝের কারণ অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট নামক একটি উদ্বায়ী সালফারযুক্ত যৌগ। সর্ষের তেল যদি পানির সংস্পর্শে না আসে তাহলে কিন্তু তাতে ঝাঝঁ হয় না। তাজা সর্ষের তেলে অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট থাকে না, থাকে সিংগ্রিন নামে তার গ্লুকোসিনোলেট যৌগ। জল বা অ্যাসিডের সাথে মিশ্রণ বা আলোড়নের ফলে মাইরোসিনেজ নামে একটি উৎসেচক সক্রিয় হয়ে সিংগ্রিন থেকে গ্লুকোজ আলাদা করে দিয়ে ঝাঁঝালো অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট তৈরি করে।
সয়াবিন তেল ও সরিষার তেলের মধ্যে পার্থক্যঃ
সয়াবিন, বা সোয়া বীজ, পূর্ব এশিয়ায় লেজুয়েম প্রজাতির একটি প্রজাতি। সয়াবিন তেল ও সরিষার তেল উভয়ই ভোজ্য তেল হলেও এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সয়াবিন তেল ও সরিষার তেলের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। সয়াবিন তেল ভিটামিন ই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে সরিষার তেল কালো দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে।
২। সয়াবিন তেল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। অন্যদিকে সরিষার তেল ঘর্মগ্রন্থি উদ্দীপিত করে শরীরের তাপমাত্রা কমায়।
৩। সয়াবিন তেল হাড়, চোখ এবং ত্বকের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করে। অন্যদিকে সরিষার তেল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ছত্রাক প্রতিরোধক উপাদান থাকায় র্যাশ ও রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
৪। সয়াবিন তেল অতিরিক্ত সেবনে ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে সরিষার তেল হৃদ্স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।