গ্রীষ্মেও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় কিন্তু শীতের মত নয়। শীতে আবহাওয়ার কারণেই ত্বক ভিতর থেকে শুষ্ক হয়ে যায় কিন্তু গ্রীষ্মে তা শুকিয়ে যায়। কারণ সরাসরি সূর্যের আলোয় অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হয়, সেই সঙ্গে ধুলোবালি, দূষণের প্রভাব তো আছেই। দীর্ঘদিন ধরে রোদের মধ্যে বাহির হলে, ত্বকে ট্যান পড়ে, পোড়া দাগ আসে সেই সঙ্গে ত্বকের প্রকৃতিও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু ত্বকে ট্যান পড়েছে নাকি পুড়েছে তা বোঝা কিন্তু বেশ মুশকিলের। যাঁদের গাত্রবর্ণ ফর্সা তাঁদের ত্বকে বেশি পরিমাণে মেলানিন তৈরি হয়। কিন্তু তার পরিমাণ থাকে অনেকটাই কম। ফলে যাঁরা ফর্সা তাঁদের ত্বকে কিন্তু ট্যান পড়ে না, ত্বক পুড়ে যায়। সেই সঙ্গে ত্বকে লালচে ভাব আসে, ফোস্কা পড়ে এই সব সমস্যাই কিন্তু মূলত থাকে।
UV-রশ্মি সরাসরি প্রভাব ফেলে আমাদের ত্বকে। যে কারণে মেলানোসাইট গুলি অতিরিক্ত মেলানিম মুক্ত করে। আর সেখান থেকে মিউটেশন গুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়। মেলানিন ত্বকের কোষের অভ্যন্তরে দুর্বল ডিএন এর উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর গঠন করে, যার ফলে ত্বক কালো হয়ে যায়।
অন্যদিকে, সানবার্ন হল এক ধরনের প্রদাহ যা সূর্যের আলোতে টানা কয়েক ঘণ্টা কাটালেই কিন্তু এই সমস্যা আসে। এটি বিপদ জনক এবং ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে, যার থেকে অকাল বার্ধক্য এবং ত্বক ক্যানসার হবার সম্ভাবনা থাকে। যাঁদের রোদে বাহির হলেই ত্বকে ফোসকা পড়ে, ফোলাভাব থাকে, র্যাশের সমস্যা হয় তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু সান বার্নের বেশি সম্ভাবনা থাকে।
ট্যান তুলতে অনেকেই প্রায়শই ট্যান রিমুভ ফেসিয়াল করান। নিয়মিতভাবে এই ফেসিয়াল করলে কিন্তু ত্বকের একাধিক সমস্যা আসতে পারে। আজকাল ত্বকের ক্যানসারের রেট বেড়েছে। সেক্ষেত্রে কারণ হিসেবে ফেসিয়াল, ট্যান রিমুভ একাধিক কিছু উঠে এসেছে। কারণ ফেসিয়াল হোক বা ট্যানিং এই সব উপাদানের মধ্যেই কিন্তু প্রচুর পরিমাণ রাসায়নিক থাকে। যা সাময়িক ভাবে দেখতে ভাল লাগলেও কিন্তু সেখান থেকে পরবর্তীতে একাধিক সমস্যা আসে। ত্বকের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না। আর এতে ত্বকে এজিং এর সমস্যা আসে অনেক দ্রুত। সেই সঙ্গে চামড়াও খসখসে হয়ে যায়। আর এভাবে চলতে থাকলে বার বার ত্বকে ট্যান পড়ার মত সমস্যা হয়। তা থেকে কিন্তু থেকে যায় একাধিক ত্বক সমস্যার সম্ভাবনা। আর তাই ত্বকের ট্যান পড়া এবং ত্বক পুড়ে যাওয়া এক ঘটনা নয়।