প্রতীক (Symbol):
ইংরেজি symbol শব্দটির বাংলা পারিভাষিক প্রতিশব্দ হলো প্রতীক। ইংরেজি শব্দটি এসেছে গ্রিক ক্রিয়াপদ ‘সিম্বালেঈন’ থেকে। এছাড়া বাংলায় ‘প্রতীক’ শব্দটির অর্থ চিহ্ন; নিদর্শন। বাংলা প্রতীক শব্দটি সংস্কৃত ‘প্রতি+√ই+ঈক’ যোগে গঠিত। কোন মৌলের ইংরেজি বা ল্যাটিন নামের সংক্ষিপ্তরূপকে প্রতীক বলে । বর্তমানে পৃথিবীতে মোট 118 টি মৌলিক পদার্থ আছে। এদের নামগুলো কিছু এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে, কিছু এসেছে ইংরেজি ভাষা থেকে।যখন কোনো মৌল সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখা হয় তখন কেবল ঐ মৌলের প্রতীককে ব্যবহার করে তা লেখা হয়। তাই মৌলিক পদার্থের ইংরেজি বা ল্যাটিন নামকে সংক্ষিপ্ত ভাবে প্রকাশের চিহ্নকে ঐ মৌলের প্রতীক বলে। প্রতীকের জন্ম হয়েছে বহু বহু আগে। ধারণা করতে পারি, মানুষের চিত্রণ ক্ষমতার বিকাশ থেকেই প্রতীকের বিকাশ শুরু। কেননা মানুষের প্রথম দিককার চিত্রগুলো ছিলো যথেষ্টই প্রতীক নির্ভর।
সংকেত (Signal):
যেকোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অণুতে কতটি মৌল আছে এবং সেই মৌলের কতটি পরমাণু আছে সেগুলো দেখানোর জন্য যে প্রতীক এর মাধ্যমে দেখানো হয় তাকে সংকেত বলে। অর্থাৎ, কোন মৌলক বা যৌগিক পদার্থের অণু ও পরমাণুর গুলোকে প্রতীক এর সাহায্যে প্রকাশ করাকে সংকেত বলা হয়। অর্থাৎ চিহ্নের সাহায্যে কোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের একটি অণুকে সংক্ষেপে প্রকাশ করার পদ্ধতিকে সংকেত বলে।
উদাহরণ : পানি- H2O, কার্বন ডাইঅক্সাইড- CO2, মিথেন- CH4, নাইট্রোজেন- N2 ।
প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্যঃ
যেকোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অণুতে কতটি মৌল আছে এবং সেই মৌলের কতটি পরমাণু আছে। প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেখানো হয়েছে-
১. কোন মৌলের ইংরেজি বা ল্যাটিন নামের সংক্ষিপ্তরূপকে প্রতীক বলে। অন্যদিকে, যখন কোন মৌল বা যৌগ দ্বারা প্রতীক ও পরমাণুর সংখ্যা প্রকাশ করা হয় তাকে সংকেত বলে।
২. প্রতীক শুধু মৌলিক পদার্থের জন্য লেখা হয়। অন্যদিকে, সংকেত মৌলিক ও যৌগিক উভয় পদার্থের জন্য লেখা হয়।
৩. প্রতীক মৌলের একটি পরমাণুকে নির্দেশ করে। অন্যদিকে, সংকেত পদার্থের একটি অনুকে নির্দেশ করে।
৪. হাইড্রোজেনের প্রতীক H সংকেত। অন্যদিকে, হাইড্রোজেনের সংকেত H2.