আস্তিক সম্প্রদায় (Theists) :
আস্তিক শব্দটি সংস্কৃত ভাষার “অস্তি” শব্দ থেকে এসেছে, যা মূলত অস্তিত্ব বা অস্তিত্বশূন্য দেখায়। আস্তিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী রয়েছে। যেমন, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদি, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, ইত্যাদি। এই ধর্মগুলোর নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতি রয়েছে। আস্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতি অনুসরণ করে জীবনযাপন করে। কিছু গ্রন্থে আস্তিককে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যারা আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে, অন্যদিকে নাস্তিক হল যারা অস্বীকার করে যে মানুষ এবং অন্যান্য জীবের মধ্যে কোনো “স্ব” আছে।[১১][২২] আস্তিক দর্শন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ হিন্দুধর্মের সমস্ত ছয়টি দর্শনই এই ভিত্তি ধরে রাখে, “আত্মান বিদ্যমান”।
নাস্তিক সম্প্রদায় (Atheists) :
নাস্তিক শব্দটি সংস্কৃত ভাষার “ন” এবং “অস্তি” শব্দগুলির যোগফলে উত্পন্ন হয়েছে, যা মূলত অস্তির অস্তিত্ব না থাকার অবস্থা দেখায়। এটি একটি পৌরাণিক ভাষায় প্রযোগ হয়েছে এবং ধার্মিক সাংস্কৃতিক সংদর্ভে ব্যবহৃত হয়। নাস্তিক সম্প্রদায় ধর্মের অস্তিত্ব অস্বীকার করে। তারা ধর্মীয় রীতিনীতি ও অনুষ্ঠান পালন করে না। নাস্তিক সম্প্রদায় হল সেই সম্প্রদায়ের মানুষ যারা ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করে। তারা বিশ্বাস করে যে, প্রকৃতির সমস্ত কিছু প্রাকৃতিক নিয়মের মাধ্যমেই ব্যাখ্যা করা যায়। তারা ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতিকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে।
নাস্তিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন দর্শনের অনুসারী রয়েছে। যেমন, বস্তুবাদ, যুক্তিবাদ, অজ্ঞেয়বাদ, ইত্যাদি। এই দর্শনগুলো ধর্মের অস্তিত্ব অস্বীকার করে। নাস্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ সাধারণত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকে না। তারা সাধারণত ধর্মীয় বিশ্বাসকে তাদের জীবনের মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে না।
আস্তিক ও নাস্তিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্যঃ
আস্তিক ও নাস্তিক সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল তাদের ধর্মবিশ্বাসের ক্ষেত্রে। আস্তিক ও নাস্তিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১. আস্তিক সম্প্রদায় ধর্মের অস্তিত্ব ও ঐশ্বরিক শক্তির উপর বিশ্বাস করে। তারা ধর্মীয় রীতিনীতি ও অনুষ্ঠান পালন করে। অন্যদিকে, নাস্তিক সম্প্রদায় ধর্মের অস্তিত্ব অস্বীকার করে। তারা ধর্মীয় রীতিনীতি ও অনুষ্ঠান পালন করে না।
আস্তিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী রয়েছে। যেমন, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদি, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, ইত্যাদি। এই ধর্মগুলোর নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতি রয়েছে। আস্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতি অনুসরণ করে জীবনযাপন করে।
অন্যদিকে, নাস্তিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন দর্শনের অনুসারী রয়েছে। যেমন, বস্তুবাদ, যুক্তিবাদ, অজ্ঞেয়বাদ, ইত্যাদি। এই দর্শনগুলো ধর্মের অস্তিত্ব অস্বীকার করে। নাস্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতিকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে।
৩. আস্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ সাধারণত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকে। অন্যদিকে, নাস্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ সাধারণত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকে না।
৪. আস্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ সাধারণত ধর্মীয় বিশ্বাসকে তাদের জীবনের মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে। অন্যদিকে, নাস্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ সাধারণত ধর্মীয় বিশ্বাসকে তাদের জীবনের মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে না।
৫. আস্তিক ও নাস্তিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য একটি জটিল বিষয়। এই পার্থক্য বিভিন্ন ধর্মীয় ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।