৬ জুলাই প্রকাশিত হওয়ার পরপরই প্রযুক্তি বিশ্বে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে মেটার থ্রেডস অ্যাপ। সপ্তাহ না পেরোতেই ১০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছেন অ্যাপটিতে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, কম সময়ে বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হওয়া অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের তালিকায় নিজের নাম লেখাতে যাচ্ছে থ্রেডস। টুইটারের আদলে তৈরি অ্যাপটি কী সত্যিই টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে, এ নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে প্রযুক্তি বিশ্বে। অনেকে বলেন, টুইটারের বাতিল করা অনেক ফিচার নিয়েই মূলত তৈরি হয়েছে থ্রেডস। তবে এই দুটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়ে গেছে।
থ্রেডস এবং টুইটারের মধ্যে পার্থক্যঃ
নকলের অভিযোগ আনলেও টুইটার ও থ্রেডসের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। থ্রেডস এবং টুইটারের মধ্যে প্রধান প্রধান পার্থক্যগুলো দেখে নেওয়া যাক-
১. টুইটার এবং থ্রেডসে কোনো লেখা শেয়ার করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। যেমন, টুইটারে কোনো একটি আনভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে মাত্র ২৮০ অক্ষরের মধ্যে লেখা শেষ করতে হবে। অন্যদিকে, থ্রেডসে এই সংখ্যা ৫০০।
২. টুইটারের ভেরিফায়েড ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন। অন্যদিকে, থ্রেডসের আনভেরিফায়েড ব্যবহারকারীরাও চাইলে ৫ মিনিটের ভিডিও ব্যবহার করতে পারবেন।
৩. যেসব ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড তারা চাইলেই তাদের থ্রেডস অ্যাকাউন্টও ভেরিফায়েড রাখতে পারবেন। অন্যদিকে, টুইটারে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য প্রতি মাসে অন্তত ৮ ডলার করে ফি দিতে হবে। তবে যারা টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করবেন তারা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার অক্ষরের মধ্যে যেকোনো লেখা শেয়ার করতে পারবেন।
৪. টুইটারের একটি বড় সুবিধা হলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে কোন ইস্যুটি ট্রেন্ডিং সেটি ব্যবহারকারীর হোমপেইজে দেখায়। অন্যদিকে, থ্রেডসে এই সুবিধা নেই। এই প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যবহারকারীকে হোম পেইজে স্ক্রল করেই সবকিছু জানতে হবে আপাতত।
৫. টুইটারে কোনো একটি পোস্ট ড্রাফটে সেভ করার সুবিধা থাকলেও থ্রেডসে এটি নেই।
৬. দুটি অ্যাপে প্রবেশের ক্ষেত্রেও পার্থক্য রয়েছে। যেখানে টুইটারে মাত্র একবার এন্টার ক্লিক করেই হোম পেইজে চলে যাওয়া যায়। অন্যদিকে, থ্রেডসে হোম পেইজে যাওয়ার জন্য অন্তত তিন দফা এন্টার চাপতে হয়।
৭. থ্রেডসের একটি দারুণ বিষয় হলো, এতে প্রাথমকিভাবে কোনো বিজ্ঞাপন রাখা হয়নি বলে জানানো হয়েছে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে। অন্যদিকে, টুইটারে বিজ্ঞাপন রয়েছে প্রচুর।