মোট উৎপাদন (Total Product):
কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ উপকরণ ব্যবহার করে যে পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদিত হয় তার মোট পরিমাণকে মোট উৎপাদন (Total Product) বলে।
সুতরাং উৎপাদন অপেক্ষক Q = f(L,K)
এখানে, Q = মোট উৎপাদন
L = শ্রমের পরিমাণ
K = মূলধনের পরিমাণ
গড় উৎপাদন (Average Product):
উৎপাদনের অন্যান্য উপকরণ স্থির রেখে মোট উৎপাদনকে একটি পরিবর্তনশীল উপকরণ দ্বারা ভাগ করলে যে পরিমাণ উৎপাদন পাওয়া যায় তাকে গড় উৎপাদন বলে। অর্থাৎ অন্য ভাবে আমরা বলতে পারি, অন্যান্য উপকরণ স্থির রেখে একটি নির্দিষ্ট উপকরণের পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তিত বিভিন্ন একক থেকে গড়ে যে পরিমাণ দ্রব্য উৎপাদিত হয় তাকে গড় উৎপাদন বলে।
সুতরাং, গড় উৎপাদন = মোট উৎপাদন ÷ মোট পরিবর্তনশীল উপকরণ
প্রান্তিক উৎপাদন (Marginal Product):
উৎপাদনে অন্যান্য উপকরণ স্থির রেখে পরিবর্তনশীল উপকরণের এক একক পরিবর্তনের ফলে মোট উৎপাদনের যে পরিবর্তন হয় তাকে প্রান্তিক উৎপাদন বলে। অন্যভাবে আমরা বলতে পারি, কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে মোট উৎপাদনের পরিবর্তনকে পরিবর্তনশীল উপকরণের
পরির্বতন দ্বারা ভাগ করলে প্রান্তিক উৎপাদন পাওয়া যায়।
সুতরাং প্রান্তিক উৎপাদন= মোট উৎপাদনের পরিবর্তন ÷ মোট শ্রমের পরিবর্তন
মোট উৎপাদন, গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদনের মধ্যে পার্থক্য:
উপকরণ স্থির রেখে পরিবর্তনশীল উপকরণের এক একক পরিবর্তনের ফলে মোট উৎপাদনের যে পরিবর্তন হয়। মোট উৎপাদন, গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদনের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। মোট উৎপাদন যখন ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকে গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদন (গচখ) তখন বাড়তে থাকে।
২। মোট উৎপাদন যখন ক্রমহ্রাসমান হারে কমতে থাকে তখন গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদন হ্রাস পেতে থাকে।
৩। মোট উৎপাদন যখন ক্রমবর্ধমান হার থেকে ক্রমহ্রাসমান হারে মোড় নেয় তখন প্রান্তিক উৎপাদন সর্বোচ্চ হয়।
৪। মোট উৎপাদন যখন সর্বোচ্চ হয় অন্যদিকে প্রান্তিক উৎপাদন তখন শূণ্য হয়।
৫। মোট উৎপাদন যখন সর্বোচ্চ থেকে ক্রমহ্রাসমান হারে কমতে থাকে। অন্যদিকে প্রান্তিক উৎপাদন তখন ঋণাত্মক হয়।
৬। মোট উৎপাদন যখন ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকে। তখন প্রান্তিক উৎপাদন গড় উৎপাদন থেকে বেশী হয়। অন্যদিকে মোট উৎপাদন যখন ক্রমহ্রাসমান হারে কমতে থাকে তখন গড় উৎপাদন প্রান্তিক উৎপাদন থেকে বেশী হয়। অর্থাৎ প্রান্তিক উৎপাদন গড় উৎপাদনকে প্রভাবিত করে