ট্রপিক চলন ও ট্যাকটিক চলন এর মধ্যে পার্থক্য

ট্রপিক চলনঃ

বাহ্যিক উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়া হিসাবে উদ্ভিদের কোনও অংশের বাঁকানো বা চলাচলকে ট্রপিক চলন বলে। অর্থাৎ উদ্ভিদও অন্যান্য জীবের ন্যায় অনুভূতিসম্পন্ন। এজন্য অভ্যন্তরীণ বা বহিঃউদ্দীপক উদ্ভিদদেহে যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তার ফলে উদ্ভিদে চলন ‍ও বৃদ্ধি সংঘটিত হয়। এসব চলনকে ট্রপিক চলন বলে। যেমনঃ আলোর প্রাভাবে কাণ্ডের আলোর দিকে চলন ঘটে।

ট্যাকটিক চলনঃ

বহিস্থ কোনাে উদ্দীপকের প্রভাবে (গতিপথ ও তীব্রতা) উদ্ভিদের বা উদ্ভিদের স্থান পরিবর্তনকে আবিষ্ট চলন বা ট্যাকটিক চলন বলে। অথাৎ বাইরের উদ্দীপকের উৎস ও গতিপথ উভয়ের প্রভাবে সমগ্র উদ্ভিদ দেহের কিংবা দেহের অংশের স্থান পরিবর্তন কে ট্যাকটিক চলন বলে। যেমন ক্ল্যামাইডোমোনাস ভলভক্স ইত্যাদি এককোষী উদ্ভিদের আলোর দিকে গমন হলো ট্যাকটিক চলন।

ট্রপিক চলন ও ট্যাকটিক চলন এর মধ্যে পার্থক্যঃ

১। ট্রপিক চলন হল বক্র চলন । এতে স্থান পরিবর্তন হয় না। অন্যদিকে ট্যাকটিক চলন হলো সামগ্রিক চলন। এতে স্থান পরিবর্তন ঘটে।

২। ট্রপিক চলনের উদ্ভিদ অঙ্গের স্থায়ী বৃদ্ধি ঘটে। অন্যদিকে ট্যাকটিক চলন এর উদ্ভিদ অঙ্গের স্থায়ী বৃদ্ধি ঘটে না। এটি অস্থায়ী চলন।

৩। বাহ্যিক উদ্দীপকের গতিপথ বা উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অন্যদিকে বাহ্যিক উদ্দীপকের গতিপথ ও তীব্রতা উভয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়।

৪। উদাহরণ: সূর্যের আলোর দিকে গাছের বেঁকে যাওয়া হল ফটোট্রপিক চলন। অন্যদিকে উদাহরণ: ক্ল্যামাইডোমোনাস এর আলোর দিকে চলন হলো ফটো ট্যাকটিক চলন।

৫। ট্রপিক চলনের উপরে উদ্ভিদ হরমোনের প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে ফটোট্রপিক চলন এর উপর অক্সিন হরমোনের প্রভাব রয়েছে। অন্যদিকে ট্যাকটিক চলন উদ্ভিদ হরমোন দ্বারা প্রভাবিত নয়।