ইউরিয়া (Urea):
ইউরিয়া হল CO(NH2)2 এর আণবিক সূত্র সহ একটি রাসায়নিক যৌগ। এটি একটি অজৈব যৌগ যার মধ্যে কার্বামাইড রয়েছে, যার কার্যকরী গ্রুপ C=O। দুটি NH2 র্যাডিকেল দুই দিক থেকে কার্বনাইল কার্বনের সাথে কোভালেন্টলি যুক্ত থাকে। ইউরিয়া একটি প্রাকৃতিক উপজাত, যা নাইট্রোজেন বিপাকের সময় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে উৎপাদিত হয়। এটি একটি বর্ণহীন, গন্ধহীন কঠিন যা পানিতে অত্যন্ত দ্রবণীয়।
ইউরিক এসিড (Uric Acid):
ইউরিক এসিড হলো কার্বন, হাইড্রোজেন নাইট্রোজেনের হেয়ারোসাইক্লিক যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত C5H4N4O3। এটি আয়ন ও লবণ তৈরি করে যা ইউরেট ও এসিড ইউরেট নামে পরিচিত, যেমন-অ্যামোনিয়াম এসিড ইউরেট। ইউরিক এসিড হলো পিউরিন নিওক্লিওটাইডের বিপাকীয় ভাঙ্গনের ফলে তৈরি দ্রব্য এবং এটি মূত্রের এক্টি সাধারণ উপাদান।ইউরিক এসিডের উচ্চ রক্তপ্রবাহ গেঁটেবাঁতের দিকে ধাবিত করে এছাড়া এটি ডায়বেটিস ও অ্যামোনিয়াম এসিড ইউরেট কিডনি পাথর তৈরির মত শারীরিক অবস্থার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
ইউরিয়া ও ইউরিক এসিডের মধ্যে পার্থক্য:
ইউরিক এসিড হলো কার্বন, হাইড্রোজেন নাইট্রোজেনের হেয়ারোসাইক্লিক যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত C5H4N4O3। ইউরিয়া ও ইউরিক এসিডের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। ইউরিয়া হল CO(NH2)2 এর আণবিক সূত্র সহ একটি রাসায়নিক যৌগ। অন্যদিকে, ইউরিক এসিড হলো কার্বন, হাইড্রোজেন নাইট্রোজেনের হেয়ারোসাইক্লিক যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত C5H4N4O3।
২। ইউরিয়া মানুষের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে নির্গত হয়। ইউরিক অ্যাসিডও শরীর থেকে নির্গত হয় তবে এটি প্রস্রাবের বিপাকের চূড়ান্ত পণ্য। এটি সর্বদা প্রস্রাবের সাথে নির্গত হয়।
৩। ইউরিক এসিড সরীসৃপ এবং পাখির প্রধান নাইট্রোজেন বহিষ্কৃত পণ্য এবং ইউরিয়া মানুষের প্রধান উৎস উদ্দীপ্ত।
৪। বিভিন্ন ডোমেনে ইউরিয়ার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। অন্যদিকে, ইউরিক অ্যাসিডের এত বেশি ব্যবহার নেই।
৫। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের আধিক্য কিডনিতে পাথরের দিকে পরিচালিত করে। অন্যদিকে, শরীরে ইউরিয়ার মাত্রা বেশি হলে কিডনি ব্যর্থতা দেখায়।