ওয়ার (War):
যুদ্ধ হলো দেশ, সরকার, সমাজ বা আধাসামরিক বাহিনী যেমন ভাড়াটে, চরমপন্থি এবং মিলিশিয়াদের মধ্যে একটি তীব্র সশস্ত্র সংঘাত। একে সাধারণত নিয়মিত বা অনিয়মিত সামরিক বাহিনীর সাহায্যে সংঘটিত চরম সহিংসতা, আগ্রাসন, ধ্বংস এবং মৃত্যুহার দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। সেক্ষেত্রে কোনো যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চললে তাকে বলে war । যেমন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। যা দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী চলেছিল।
ব্যাটেল (Battle):
Battle হচ্ছে ছোট পরিসর বা পক্ষ একদল বিপক্ষ একদল সেনাবাহিনীর মধ্যে যে যুদ্ধ। battle যুদ্ধে জয় পরাজয় চুড়ান্ত ফল নির্ধারন নাও করতে পারে। এখানে কোন একটি দল পরাজিত হলে অপরপক্ষ জয় নিশ্চিত করতে পারেনা। শুধু মাত্র ঐ স্থানের লড়াইটা শেষে এক পক্ষ জিতে যায়। কোনো যুদ্ধ খুব অল্প সময় ধরে চললে তাকে বলে battle । যেমন পলাশীর যুদ্ধ। যা প্রায় ১১ ঘন্টাব্যাপী চলেছিল।
War ও Battle এর মধ্যে পার্থক্যঃ
War ও Battle শাব্দিক অর্থে এক। তবুও সময়, কাল এবং ব্যবহারের দিক থেকে এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। War ও Battle এর মধ্যে পার্থক্য নিচে দেখানো হলো-
১। যখন কোন যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলে তখন তাকে বলে ওয়ার যেমন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ নয় মাস ব্যাপী হয়েছিলো বলে একে বলা হয় ওয়ার। অন্যদিকে যখন কোন যুদ্ধ খুব কম সময়ের জন্য হয় তখন তাকে বলে ব্যাটেল।
২। battle যুদ্ধে জয় পরাজয় চুড়ান্ত ফল নির্ধারন নাও করতে পারে। এখানে কোন একটি দল পরাজিত হলে অপরপক্ষ জয় নিশ্চিত করতে পারেনা। শুধু মাত্র ঐ স্থানের লড়াইটা শেষে এক পক্ষ জিতে যায়। অন্যদিকে war হচ্ছে একটি সামগ্রিক যুদ্ধ। যা দুই দেশের মধ্যে ঘটে। war এর জয় পরাজয় হচ্ছে চুড়ান্ত ফলাফল।
৩। তাই battle হচ্ছে ছোট ছোট দল বা গ্রুপের সামনা-সামনি যুদ্ধ। অন্যদিকে, war হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে সামগ্রিক ভাবে মোট যুদ্ধ।
৪। battle একই সাথে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে সংঘটিত হতে পারে। অন্যদিকে, war সামগ্রীকভাবে একটাই হবে।
৫। Battle -এর উদাহরণ হলো- ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধ ২/১ দিন মাত্র হয়েছিলো। তাই সেটাকে বলে Battle of Palashi। অন্যদিকে War -এর উদাহরণ হলো- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। যা দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী চলেছিল।