সাধারণ অর্থে যোগান বা সরবরাহ বলতে বাজারে প্রচলিত দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যে পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী বর্তমান থাকে তাকে বুঝানো হয়। কিন্তু অর্থনীতিতে যোগান বলতে একটি নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট দামে বিক্রেতা/সরবরাহকারীরা কোনো দ্রব্যের যে পরিমাণ দ্রব্য বিক্রয় করতে রাজি থাকে তাকেই যোগান বলে। যোগান সূচির জ্যামিতিক প্রকাশই হলো যোগান রেখা। অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট সময়ে একটি দ্রব্যের বিভিন্ন দামে তার বিভিন্ন পরিমাণ যোগান যে রেখার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তাকে যোগান রেখা বলে। যোগান রেখার বিভিন্ন বিন্দু বিভিন্ন দামে যোগানের বিভিন্ন পরিমাণ নির্দেশ করে। উপরোক্ত যোগান সূচির মানগুলোকে চিত্রে উপস্থাপন করে যোগান রেখা অংকন করা হলো:
X- অক্ষে যোগানের পরিমাণ এবং Y- অক্ষে দ্রব্যের দাম নির্দেশ করা হয়। দ্রব্যের দাম যখন ১০ টাকা দ্রব্যের পরিমাণ তখন ১৫ একক এবং প্রাপ্ত বিন্দু হলো a। দাম বৃদ্ধি পেয়ে ২০ টাকা হলে যোগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০ একক এবং প্রাপ্ত বিন্দু হলো b। এভাবে c, d, e বিন্দুতেও দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে যোগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে ২৫ একক, ৩০ একক এবং ৩৫ একক হয়। এই a, b, b, d, ও e বিন্দুগুলো যোগ করলে SS যোগান রেখা পাওয়া যায়। SS যোগান রেখাটি উর্ধ্বগামী। দামের সাথে যোগানের সমমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান।