নারী (Women):
ইংরেজি ভাষায় “woman” শব্দটি প্রায় ১০০০ বছর আগের wīfmann থেকে এসেছে। যা পরে wīmmann থেকে wumman, এবং অবশেষে, আধুনিক বানান “woman” শব্দটি । প্রাচিন ইংরেজিতে, wīfmann মানে “নারী”। নারী বলতে একজন পূর্ণ বয়স্ক মহিলা মানুষকে বোঝায়। যৌবনকালে পৌছাবার পূর্বে একজন নারীকে মেয়ে বলে সম্বোধন করা হয়। নারী শব্দটিকে যখন “নারী অধিকার” শব্দগুচ্ছে ব্যবহার করা হয় তখন বয়সের ব্যাপারটিকে প্রাধান্য দেয়া হয়না। নারী শব্দটি সাধারণভাবে যে দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবহার করা হয় তা হল, যে কোনো মহিলা মানুষ বোঝাতে, বা বিশেষভাবে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা মানবকে বোঝাতে যা “মেয়ে” শব্দটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়ে থাকে । মেয়ে শব্দটি মূলত ইংরেজিতে “young person of either sex” হিসেবে বোঝায়
সাধারণত, মহিলাদের দেহে দুটি X ক্রোমোজোম থাকে এবং তারা বয়ঃসন্ধি থেকে মেনোপজ পর্যন্ত গর্ভধারণ করতে এবং জন্ম দিতে সক্ষম। মহিলাদের শরীরকে পুরুষদের শরীর থেকে মহিলা প্রজনন ব্যবস্থা -এর মাধ্যমে আলাদা করা যায়। মহিলা প্রজনন ব্যবস্থা-এর মধ্যে রয়েছে ডিম্বাশয়, ফ্যালোপিয়ান টিউব, জরায়ু, যোনি এবং ভালভা । প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের পেলভিস ও নিতম্ব চওড়া এবং স্তন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের তুলনায় বড় হয়ে থাকে। মহিলাদের মুখের এবং অন্যান্য শরীরের লোম উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়, শরীরে চর্বি বেশি থাকে এবং পুরুষদের তুলনায় গড় উচ্চতা কম হয় এবং শরীররে পেশি কম থাকে।
পুরুষ (Men):
ইংরেজি “Man” শব্দটি প্রাক-ইন্দো-ইউরোপীয় শব্দ-মুল man (সংস্কৃত/আভিস্তান manu বা মানু, স্লাভিক mǫž ) থেকে এসেছে। আরও সরাসরি শব্দটি পুরাতন ইংরেজি থেকে এসেছে। পুরাতন ইংরেজিতে এর একটি নির্দিষ্ট অর্থ ছিলো ‘প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ’। পুরুষ হলো মানবজাতির পুং জাতীয় সদস্য। ‘পুরুষ’ শব্দটি পুং জাতীয় মানুষের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত। ‘ছেলে’ বলতে পুরুষের শৈশবকালীন পরিচয় বুঝায়। তবে কখনো কখনো পুরুষ শব্দটি সকল বয়সের পুরুষকে বুঝাতে ব্যবহার করা হয়। যেমন- পুরুষদের বাস্কেটবল।
বিশ্বের অন্যান্য অধিকাংশ পুং জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মত পুরুষের জিনোমে সাধারণত তার মায়ের কাছ থেকে আসা X ক্রোমোসোম এবং বাবার কাছ থেকে আসা Y ক্রোমোসোম থাকে। পুরুষ ভ্রুণ নারী ভ্রুণের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে এন্ড্রোজেন হরমোন এবং অল্প পরিমাণে ইস্ট্রজেন হরমোন উৎপাদন করে থাকে। সেক্স স্টেরয়েড তৈরীর পরিমাণে পার্থক্যের জন্য মূলত একজন নারী ও পুরুষের শারীরবৃত্তীয় পার্থক্য সৃষ্টি করে।
নারী-পুরুষের মধ্যে মানসিক পার্থক্যঃ
লজ্জা নারীর ভূষণ হতেই পারে, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে সব কিছুর আড়ালে থেকে যাবে সে। বর্তমান যুগে নারী-পুরুষের বিভেদ করা শিক্ষাহীনতারই পরিচয়। নারী-পুরুষের মধ্যে মানসিক পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। পুরুষদের ব্রেন স্বাভাবিকভাবেই অঙ্ক কষতে পছন্দ করে। অন্যদিকে, মহিলারা পছন্দ করেন ভাষা।
২। মেয়েরা ঝগড়া করলেও, সচরাচর মারামারি করে না। অন্যদিকে, পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায় সেটাই।
৩। কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে, আবেগকে প্রাধান্য দেয় না পুরুষরা। অন্যদিকে, মহিলারা আনুষঙ্গিক অনেক কিছু ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়।
৪। মজার কিছু হলে পুরুষরা হাসেন, অন্যদিকে, মহিলারা হাসেন যখন তারা মনে করেন হাসবেন।
৫। পুরুষদের কাছে তাদের গাড়ি অত্যন্ত প্রিয় বস্তু হয়, তাই তা পরিষ্কার রাখতে পছন্দ করে। অন্যদিকে, মহিলারা মনে করে, গাড়ি পরিষ্কার করা আর জুতোর তলা পরিষ্কার একই ব্যাপার।
৬। আবেগজড়িত ঘটনার কথা পুরুষদের তুলনায় বেশি মনে করেন মহিলারা।
৭। জীবনে স্ট্রেস বাড়লে, পুরুষদের শারীরিক চাহিদা বাড়ে। যা একেবারেই উল্টো মেয়েদের ক্ষেত্রে।
৮। মানুষ বিচার করার ক্ষমতা পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয় মেয়েদের।
৯। একজন মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার প্রথম কারণ তার সৌন্দর্য। অঅন্যদিকে, দেখনদারি বিশেষ আকর্ষণ করে না মহিলাদের।
১০। সমস্যার কথা সাধারণত কারোর সঙ্গে আলোচনা না করেই মেটানোর চেষ্টা করে ছেলেরা। অন্যদিকে, মেয়েরা তা আলোচনা না করতে পারলে বেশি সমস্যায় পড়েন।