ইয়াহু মেইল এবং জি-মেইলের মধ্যে পার্থক্য

ইয়াহু মেইল:

ইয়াহু মেইল একটি বিনামূল্যের ই-মেইল সেবা। কম্পিউটিং কোম্পানি ইয়াহু ইনকর্পোরেটেড এই সেবাটি নিয়ন্ত্রণ করে। ইয়াহু! মেইল পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবভিত্তিক ই-মেইল সেবাগুলির একটি। কমস্কোর-এর (comScore) দেয়া তথ্যমতে ১৯৯৭ সালে শুরু হওয়া এই সেবাটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ওয়েবভিত্তিক ই-মেইল সেবাদানকারী। ২০১০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ইয়াহু মেইলের ২৭৩.১ মিলিয়ন ব্যবহারকারী ছিল।

এতে আছে শক্তিশালী স্প্যাম প্রোটেকশন, স্বয়ংক্রিয় ভাইরাস পরীক্ষণ এবং অসীম জায়গা। তবে এর খারাপ দিকগুলোর মধ্যে আছে ভারী ওয়েব ইন্টারফেস, ফ্রি একাউন্টে POP সাপোর্টের অভাব, এবং বিজ্ঞাপন বা এডের উপস্থিতি।

জি-মেইল:

জিমেইল (Gmail) একটি বিনামূল্যে ওয়েবমেইল, যার সার্ভিস দেয় গুগল। জিমেইল এ POP3 এবং IMAP সুবিধা রয়েছে। যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিতে এটি গুগলমেইল নামেই পরিচিত। মূলত জিমেইলের পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয় ১লা এপ্রিল ২০০৪ এ বেটা সংস্করণ আকারে এবং সর্বসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০০৭ এ। পরবর্তীতে ৭ই জুলাই ২০০৯ পরিপূর্ণ সংস্করণ হিসেবে প্রকাশ করা হয়।

ইয়াহু মেইল এবং জি-মেইলের মধ্যে পার্থক্য:

ইয়াহু! মেইল পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবভিত্তিক ই-মেইল সেবাগুলির একটি। ইয়াহু মেইল এবং জি-মেইলের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। ইয়াহুতে ফাইল অ্যাটাসমেন্ট করার জন্য অন্য পেজ প্রদর্শন করে। অন্যদিকে জিমেইলে এক পেজে ফাইল অ্যাটাসমেন্ট করার সুবিধা আছে।

২। ইয়াহুতে, আপনাকে পাঁচটি সংযুক্তিগুলির জন্য বক্সগুলি যোগ করতে হতে পারে, কিছু কিছু বৈশিষ্ট্যগুলি বিরক্ত করতে পারে।

৩। ইয়াহু মেইলের স্প্যামিং স্ক্রিন জিমেইলের তুলনায় বেশি একটা ভালো নয়। অন্যদিকে ইয়াহুর তুলনায় জিমেইলের স্প্যামিং স্ক্রিন ভালো।

৪। মেইল ফরওয়াডিং করতে ইয়াহুতে ফি প্রদান করতে হয়। অন্যদিকে জিমেইলে ফ্রিতেই মেইল ফরওয়াডিং করা যায়।

৫। ইয়াহুতে পপ অ্যাক্সেস নিতে ফি প্রদান করতে হয়। অন্যদিকে জিমেইলে ফ্রিতেই পপ অ্যাক্সেস দিয়ে থাকে।

৬। জিমেইলে ইনস্ট্যান্ট মেসেঞ্জারের মতো কথোপকথন মডেলে ওয়েবমেইলের ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে ইয়াহুতে ইনস্ট্যান্ট মেসেঞ্জারের সুবিধাটি নেই।