জাকাত এবং কুরবানির নেসাব মৌলিকভাবে এক। অর্থাৎ সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমপরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া। তবে কুরবানির নেসাব জাকাতের নেসাব থেকে দুই দিক থেকে ভিন্ন।
এক- জাকাতের জন্য বর্ষপূর্তি শর্ত কিন্তু কুরবানির ক্ষেত্রে তা শর্ত নয়। বরং ঈদের দিনগুলোতে অর্থাৎ ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক উদিত হওয়ার সময় থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কেউ নেসাবের মালিক হলে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে।
দুই- জাকাতের নেসাবের জন্য শর্ত হলো, স্বর্ণ-রুপা অথবা ব্যবসার সম্পদ কিংবা গবাদি পশু হওয়া। কিন্তু কুরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে তা শর্ত নয় বরং এতে সব ধরনের মাল হিসাব করা হবে। অবশ্য তা মৌলিক প্রয়োজন থেকে অতিরিক্ত এবং ঋণ মুক্ত হতে হবে।
অতএব, কোনো ব্যক্তির নিকট যদি তার ব্যবহারের কাপড় ছাড়া অতিরিক্ত কাপড় থাকে বা দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত তামা, পিতল ও চিনামাটি ইত্যাদির পাত্র থাকে অথবা অন্য কোন খালি জায়গা বা ঘর -বাড়ি ফ্লাট বাসা ইত্যাদি থাকে থাকে কিংবা মৌলিক প্রয়োজন অতিরিক্ত অন্য কোন প্রকারের জিনিসপত্র থাকে এবং সেগুলোর মূল্য নেসাব পরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হবে।
সূত্র: হাশিয়াতু তাহতাবী আলা দুররিল মুখতার ৪/১২০ ফাতাওয়া শামী ৯/৫২০ আল মুহিতুল বুরহানী ৮/৪৫৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬